ছবির মত করে সুন্দর গোছানো একটি দেশ ভুটান, যাকে সুখী মানুষের দেশও বলা হয়। বাংলাদেশ থেকে ভুটানের দূরত্ব মাত্র ৮২২ কি.মি. এর মতো। তাই খুব অল্প সময়ে প্লেনে করেও যাওয়া যায় কিংবা বাসে করেও যাওয়া যায়। চলুন তাহলে জেনে নেই কোথায় থাকবেন এবং কিভাবে যাবেন প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ঘেরা পাহাড়ের দেশ ভুটান-
বিমান পথে ভুটান যাওয়ার উপায়
বিমানে করে ভুটান যেতে চাইলে আগে থেকে ভিসা প্রসেসিং এর কোন দরকার নেই। বাংলাদেশের নাগরিকদের ভুটানে অন এরাইভাল ভিসা দেয়া হয়। টিকেটের মূল্য সময় ভেদে ভিন্ন হয়ে থাকে। ভুটানে একটিই ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট যেটা পারোতে অবস্থিত।
বাই রোডে ভুটান যাওয়ার উপায়
বাই রোডে ভুটান যেতে হলে প্রথমেই দরকার হবে ভারতের ট্রানজিট ভিসা। কারন বাংলাদেশের সাথে ভুটানের কোন বর্ডার নেই। ঢাকা থেকে বুড়িমাড়ি/ চেংড়াবান্ধা বর্ডার দিয়ে সীমান্তে প্রবেশ করে সেখান থেকে বাস কিংবা ট্যাক্সি করে ভুটানের বর্ডার জয়গাঁ/ ফুন্টশোলিং দিয়ে ভুটানে প্রবেশ করা যায়। এক্ষেত্রে সময় লাগে প্রায় ২৪ ঘণ্টা। কিন্তু সুবিধা হচ্ছে খরচ কম হয় এবং সারা পথের সুন্দর সব দৃশ্য উপভোগ করা যায় আর সময় থাকলে ফুন্টশোলিং এলাকাটাও একদিন থেকে ঘুরে দেখা যায়।
ভ্রমণ করার উপযুক্ত সময়
ভুটান বেড়ানোর উপযুক্ত সময় হল সেপ্টেম্বর-নভেম্বর। কেননা এই সময়ে বৃষ্টি হয় না, আকাশ পরিষ্কার থাকে, আবহাওয়া সুন্দর থাকে এবং খুব বেশী ঠাণ্ডা পড়ে না। শীতকালে ভুটানে প্রচুর ঠাণ্ডা পড়ে এমনকি বরফ জমে রাস্তা-ঘাট বন্ধ হয়ে যায়। যারা বরফ উপভোগ কিংবা স্নোফল দেখতে চান তারা চাইলে শীতেও ঘুরে আসতে পারেন। তবে বর্ষাকালে না যাওয়াই ভালো। কারণ বর্ষাকালে প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়। তবে সেপ্টেম্বর-নভেম্বর ভুটানে পিক সিজন তাই সবকিছুর দাম বেশী থাকে, বিভিন্ন দেশ থেকে অনেক পর্যটক ঘুরতে আসেন এই সময়ে।
৩৮,৩৯৪ স্কয়ার কিলোমিটারের দেশ ভুটানে মোট ২০টি শহর আছে। তবে থিম্পু, ফুন্টশোলিং, পুনাখা, পারো, গেলেফু, সমদ্রুপ ঝংকার এরকম কয়েকটা শহর ঘুরলে পুরো ভুটান সম্পর্কে একটা ধারণা পাওয়া যাবে।
আনুমানিক খরচ
বাই রোডে গেলে বাংলাদেশের একজন মানুষ ১৫,০০০ – ২০,০০০ টাকায় ভুটান ঘুরে আসতে পারে। তবে আপনি কেমন হোটেলে থাকছেন, কি ধরনের খাবার খাচ্ছেন, কতদিন থাকছেন এগুলো অনেক বিষয়ের ওপর ভ্রমণের খরচ নির্ভর করে।
ভুটান ভ্রমণের ক্ষেত্রে কিছু টিপস
ভুটানের লোকজন খুবই শান্তিপ্রিয় এবং ধর্মভীরু মানুষ। প্রতিটি দেশেরই আলাদা কিছু নিয়ম এবং সংস্কৃতি থাকে। যেকোন দেশ বা স্থান ভ্রমণের আগে সেখানকার সংবেদনশীল তথ্যগুলো সম্পর্কে জেনে নেওয়া ভালো-