নগরী জুড়ে এখন বহুতল ভবনই বেশি। ছোট ফ্ল্যাটে জায়গার বেশ অভাব। সকলেই চান, তারই মধ্যে নিজের ফ্ল্যাট টি সুন্দর করে সাজিয়ে তুলতে। ঘরের সাজসজ্জায় শো-কেস একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়। এখন বাজারে ছোট-বড় হরেক মাপের ও ব্যতিক্রম ডিজাইনের শো-কেস ও শেল্ফ পাওয়া যায়। চাইলে নিজস্ব ডিজাইন দিয়ে বানিয়ে নিতে পারেন শো পিস বা বই রাখার জন্য শো-কেস শেল্ফ। সে ক্ষেত্রে কিছু নিয়ম মেনে চললেই নতুন ভাবে সেজে উঠবে আপনার ঘর।
শো-কেস সাজানোর সময়ে মনে একটা ত্রিভুজ কল্পনা করে নেবেন। সেই মতো নানা শোপিস, ফুলদানি, মূর্তি ইত্যাদি সাজিয়ে রাখবেন। শো-কেসের তাক গুলো যদি বেশি চওড়া হয় তাহলে পিছন দিকে বই রেখে আকারে ছোট জিনিসগুলি সামনে রাখতে পারেন। এতে জিনিসগুলির উচ্চতায় তারতম্য থাকার কারণে সাজে বৈচিত্র আসবে।
যদি চান কম জায়গায় সব কিছু এরেঞ্জ করতে তাহলে ঘরের দেওয়ালেই তৈরি করতে পারেন ‘হ্যাঙ্গিং শেল্ফ’। তবে শুধু জায়গা বাচালেই হল না, সেই শেল্ফটিকে সুন্দর করে সাজিয়ে তুললে তবেই খুলবে ঘরের সাজ। সেই মতো নানা শোপিস, ফুলদানি, মূর্তি ইত্যাদি সাজিয়ে রাখবেন। এ ছাড়াও ছবির ফ্রেম, সুন্দর আয়না, টেব্ল ল্যাম্প ইত্যাদি শেলফের সাজে আনতে পারে বাহার।
বুকশেল্ফ কেবল বই ভর্তি করে রেখে দেবেন না। বইয়ের পাশে রাখুন মিনিয়েচার ক্যাকটাস, ক্রিস্টাল আইটেম, ঘড়ি কিংবা ছোট শো-পিস। বইও থাকবে ছক ভেঙে। আড়াআড়ি এবং লম্বালম্বি ভাবে। বুক শেল্ফের মাঝে রাখতে পারেন একটা ছবির ফ্রেমও।
একই ধরনের জিনিস দিয়ে শেল্ফ ভরিয়ে তুলবেন না। কাঠের জিনিসের পাশে থাকতেই পারে রঙিন সফ্ট টয়, পোড়া মাটির পুতুলের পাশে সাজিয়ে রাখুন উজ্জ্বল কোনও শো-পিস, ছবির ফ্রেম। এ ভাবেই নানা রঙের খেলায় সাজিয়ে তুলুন ঘরের বোরিং শেল্ফটি। বিভিন্ন রঙের সমাহারে শেল্ফটি অনেক বেশি প্রাণবন্ত দেখাবে।
শেল্ফের পিছনে লম্বালম্বি কোনও স্পেস থাকলে, তাকে ব্যবহার করতেই পারেন। আয়না বা কোনও সুন্দর ছবি রাখতে পারেন সেই স্পেসে। সাদামাটা, ছিমছাম রাখলেই দেখতে ভাল লাগে।