আধুনিক শহুরে জীবনে বড় বাড়িঘর পাওয়া প্রায় অসম্ভব বলা যায়। শহরে উপার্জনের জন্যে আসতে হয় হাজার হাজার মানুষকে। শহরের টানে এখানেই অনেকে থেকে যান সারাজীবন। কিন্তু যতদিন থাকেন তারাও নিজস্ব একটা বাসস্থানেই থাকতে পছন্দ করেন। অনেকেই সুবিধের জন্যে ফ্ল্যাটে ভাড়া না থেকে ছোট্ট একটা ফ্ল্যাট কিনেই নেন। তারপর সেই ফ্ল্যাটটিকে মনের মতো সাজিয়ে নেন তারা।
শহর ছোট ছোট ফ্ল্যাটের চাহিদা বাড়ছে আজকাল। কখনও দু’টি শোওয়ার ঘর, কখনও একটা। একটি বসার এবং খাওয়ার ঘর একসঙ্গে। একটি কিচেন, আজকাল যদিও ওপেন কিচেনের চাহিদা বেড়েছে। টয়লেট একটি বা দু’টি। আর একফালি বারান্দা।
ছোট ফ্ল্যাটের একেবারে সহজ অন্দরসজ্জার নিয়ম হচ্ছে সাধারণ কিন্তু স্ট্যান্ডার্ড ফার্নিচার। বসার ঘরে বাইরে থেকে কিনে আনা সোফা সেট না নিয়ে, বরং ফ্ল্যাটের মাপ অনুযায়ী বানিয়ে নিন। এতে অনেকটা জায়গা ও খরচ বাঁচবে। বসার জায়গা আর খাবার টেবিলের মধ্যে একটা পার্টিশান হলে খুব ভালদেখায়। তাহলে বাইরের লোকের চোখে পরবে না খাওয়ার জায়গা। ডাইনিং টেবিলের আশেপাশে একটা বেসিন রাখুন। যাতে খাওয়ার পর হাত-মুখ সহজেই ধুয়ে নেওয়া যায়।
শোওয়ার ঘরের খাট উচ্চতায় ষোলো ইঞ্চির বেশি নয়। এর উপরে থাকবে গদি। সাইড টেবিল থাকতে পারে। খাটের একপাশের দেওয়ালে জায়গা বেশি থাকলে আয়না করে নেওয়া যেতে পারে। ড্রেসিংটেবিলকে টপ সাইড টেবিল টপ হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে। ড্রয়ার যেন অবশ্যই থাকে৷ খাটের পিছনের দিকের দেওয়ানে জানালা না থাকাই শ্রেয়। এই দেওয়ালটিকে সুন্দর করে সাজিয়ে নেওয়া যেতে পারে ওয়াল পেপার বা প্যানেলিং দিয়ে। আলোর বন্দোবস্ত যেন যথেষ্ট থাকে।
ওপেন কিচেন হলে সামনের দিকে একটু উঁচু করে কিচেন কাউন্টার বানিয়ে নেওয়া যায়। বার স্টুল ব্যবহার করে এই উঁচু হয়ে থাকা কাউন্টারেই খাবার খেয়ে নেওয়া যেতে পারে। এতে দেখতেও নতুনত্ব আসে আবার অনেকটা জায়গাও বাঁচে।
একফালি বারান্দা থাকলে এটিকেও মন মত সাজিয়ে নেয়া যায়। কর্মব্যস্ত দিন শেষে বারান্দায় বসে চা কফি খাওয়ার জন্য রাখতে পারেন ছোট্ট একটা টি টেবিল আর সাথে দুটি চেয়ার। ছোট ফ্ল্যাট গুলোর বারান্দা গুলো সাধারণত বেশ ছোট হয়। তাই বেশি জায়গা না থাকলে কিছু ফুল গাছের টব দিয়ে সাজানো যেতে পারে।