আমার মন ভালো নেই, অনিন্দিতা;
আজকাল ভালো থাকে না কখনোই
শুধু দুঃস্বপ্ন দেখি
শুধু রক্তাক্ত হই আর ভিজে যাই বেদনায়।
শুভ্র আকাশ বারবার ছেয়ে যায় বিবর্ণ মেঘে
বারবার থমকে দাঁড়ায় অগ্রগতির চাকা,
অপশাসনের সজোর বাতাসে
ঝরে পড়ে সত্ত্বার মুকুল আর মুছে যায়
আলোবন্ত আগামীর ঠিকানা।
এক লম্পট গোষ্ঠী আজও তৎপর
মধুরতর সস্ত্রীতির বাঁধন বিনষ্ট করতে;
সুযোগ পেলেই ফতোয়াবাজের দল হয়ে ওঠে সরব;
একদল র্ধূত শেয়াল ধর্মভীরুতার সুযোগ নিয়ে
অপব্যাখ্যায় বিভ্রান্ত করে সহজ সরল মানুষগুলোকে
চালিত করে অশুভ লক্ষ্যে, ভুল পথে।
দিক্ভ্রান্ত সেই ধর্মান্ধেরা অধর্ম কবে চলে ধর্মের নামে;
কখনওবা কেড়ে নেয় তরতাজা গোলাপের প্রাণ
গুপ্ত ঘাতক হয়ে,
নিজেকে সঁপে দিযে কলঙ্কময় মৃত্যুর করতলে।
অনিন্দিতা, কবে জাগবে ওরা ? কবে বুঝবে-
মানুষের রক্তে ভেজা পথে হেঁটে হেঁটে
স্বর্গের দুয়ারে পৌঁছা যায় না কিছুতেই !
এ ধরনের কথা শুনলেই তুমি বলো-
এতে যদি আর কারও দুশ্চিন্তা না হয়, না হয় কষ্ট
তবে তুমি কেন কষ্ট পাবে শুধু!
তুমি জানো না, অনিন্দিতা, এসবে সকলেই কষ্ট পায়
চামড়ার চোখে হয়ত দেখতে পাই না সব,
বাইরে থেকে বুঝতে পারি না ভেতরের ভাঙচুর;
তবু তো এ হৃদয় লণ্ডভণ্ড হয় রক্তাক্ত ঝড়ে
নির্বিকার পুড়ে মরে হীরের আগুনে।