বাংলাদেশ থেকে খুব সহজেই সড়কপথে যাওয়া যায় মেঘালয়। বর্ষাকালে মেঘালয়ের রূপ খোলে পুরোপুরি। রাস্তায় রাস্তায় ঝিরঝির করে বয়ে চলা ঝরনা, মেঘের ছুটোছুটি দেখতে চাইলে অবশ্যই বর্ষাকালে ঢুঁ মারতে হবে মেঘ-বৃষ্টির এই শহরে। সড়কপথে মেঘালয় যেতে চাইলে আপনার ভিসা থাকতে হবে ডাউকি পোর্ট দিয়ে। ঢাকা থেকে বাসে অথবা ট্রেনে চলে যান সিলেট। বাসস্ট্যান্ড থেকে সিএনজি নিয়ে নিতে পারেন তামাবিল বর্ডার যাওয়ার জন্য। তামাবিল বর্ডারে প্রয়োজনীয় আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে ঢুকে পড়ুন ডাউকি সীমান্তে। সেখানেও রয়েছে কিছু আনুষ্ঠানিকতা। সবকিছু শেষ করে ট্যাক্সি নিয়ে চলে যান শিলং, চেরাপুঞ্জি অথবা ডাউকিতে।
কী কী দেখবেন
শিলং শহর ঘুরে দেখার জন্য হাতে রাখতে পারেন একদিন। সুইট ফলস, এলিফ্যান্ট ফল, স্মিথ ভ্যালি, পার্ক, বিশাল চার্চসহ বেশকিছু পর্যটন স্পট পেয়ে যাবেন শিলংয়ে। শিলং থেকে ৫৬ কিলোমিটার দূরে বৃষ্টির শহর চেরাপুঞ্জি। বিস্ময়কর সেভেন সিস্টার্স ঝরনা এখানকার অন্যতম আকর্ষণ। ভারতের চতুর্থ বৃহৎ ঝরনা এটি। পাহাড়ের কোল ঘেঁষে নামা এসব ঝরনার উপরেও চলে যেতে পারেন ইকো পার্কের ভেতর দিয়ে। রয়েছে গাছের তৈরি দোতলা সেতু। তবে এখানে যেতে হলে অনেকটা পথ পায়ে হেঁটে যেতে হবে। ডাউকিতে রয়েছে এশিয়ার সবচেয়ে পরিচ্ছন্ন গ্রাম মাওলিননং। রয়েছে প্রবল উচ্ছ্বাসে নেমে আসা বড়হিল ঝরনা।
মেঘালয় ভ্রমণের অন্যতম আনন্দময় অভিজ্ঞতা হবে এখানকার সড়কপথ ভ্রমণ। মেঘ আচ্ছাদিত পাহারি আঁকাবাঁকা পথ ধরে চলতে চলতে চলে যেতে পারবেন এক স্থান থেকে অন্য স্থানে। পথ চলতে চলতে আবিস্কার করতে পারবেন অসংখ্য ঝরনা। মেঘালয়ের পাহাড়গুলো এক একটা ঝরনার খনি। পাহাড়ের আনাচে কানাচে লুকিয়ে থাকে উন্মাতাল সব ঝরনা। আবার বৃষ্টির কারণেও অনেক সময় অস্থায়ী সব ঝরনার জন্ম হয় এখানে। চেরাপুঞ্জিতে পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হয়। মেঘালয়ের বিশাল সব পাহাড়ের সৌন্দর্য তো রয়েছেই।
কোথায় থাকবেন
থাকার জন্য বেশ ভালো হোটেল হয়েছে চেরাপুঞ্জি ও শিলংয়ে। চাইলে থাকতে পারেন ডাউকিতেও। হোম স্টে বা স্থানীয়দের বাড়িতে থাকার সুযোগ থাকছে সবখানেই। ভাড়াও হাতের নাগালেই।
খরচ
সড়কপথে মেঘালয় থেকে ঘুরে আসতে চাইলে জনপ্রতি ১৫ হাজার টাকা মতো খরচ হবে। একসঙ্গে অনেকজন গেলে এই খরচ কমে চলে আসবে ১৩ থেকে ১৪ হাজারে। এখানে থাকা ও খাওয়ার খরচ হাতের নাগালের মধ্যেই। ট্যাক্সি রিসার্ভ করে নিতে পারেন কয়েক দিনের জন্য।
জেনে নিন