Choose your product from the mega showcase from thousands of sellers
BD Trade Blogs
> Blogs > কবিতা > উন্মেষ

উন্মেষ


জীবনানন্দ দাশ

কোথাও নদীর পারে সময়ের বুকে-
দাঁড়ায়ে রয়েছে আজো সাবেককালের এক স্তিমিত প্রাসাদ;
দেয়ালে একটি ছবিঃ বিচারসাপেক্ষ ভাবে নৃসিংহ উঠেছে;
কোথাও মঙ্গল সংঘটন হ’য়ে যাবে অচিরাৎ।


নিবিড় রমণী তার জ্ঞানময় প্রেমিকের খোঁজে
অনেক মলিন যুগ- অনেক রক্তাক্ত যুগ সমুত্তীর্ণ ক’রে
আজ এই সময়ের পারে এসে পুনরায় দেখে
আবহ্মানের ভাঁড় এসেছে গাধার পিঠে চ’ড়ে।



স্বাক্ষরের অক্ষরের অমেয় স্তূপের নিচে ব’সে থেকে যুগ
কোথাও সংগতি তবু পায়নাকো তার;
ভারে কাটে- তথাপিও ধারে কাটে ব’লে
সমস্ত সমস্যা কেটে দেয় তরবার।



চোখের উপরে
রাত্রি ঝরে
যে-দিকে তাকাই,
কিছু নাই
রাত্রি ছাড়া;
অন্ধকার সমুদ্রের তিমির মতন
উদীচীর দিকে ভেসে যাই;
ম্যানিলা- হাওয়াই,
টাহিটির দ্বীপ,
কাছে এসে দূরে চ’লে যায়-
দূরতর দেশে।
কী এক অশেষ কাজ করেছিলো তিমি;
সিন্ধুর রাত্রির জল এসে
মৃদু মর্মরিত জলে মিশে গিয়ে তাকে
বোর্নিওর সাগরের শেষে-
যেখানে বোর্নিও নেই- ম্লান আলাস্কাকে
ডাকে।
যতদূর যেতে হয়
ততদূর অবাচীর অন্ধকারে গিয়ে
তিমিরশিকারী এক নাবিককে আমি
ফেলেছি হারায়ে;
কোথায় রয়েছি-
জীব হ’য়ে কবে
ভূমিষ্ঠ হয়েছি।
এই তো জীবনঃ
সমুদ্রের অন্ধকারে প্রবেশাধিকারে;
নিপাট আঁধার;
ভালো বুঝে পুনরায়
সাগরের সৎ অন্ধকারে নিষ্ক্রমণ।
সবি আজো প্রতিশ্রুতি, তাই
দোশ হ’য়ে সব
হ’য়ে গেছে গুণ।
বেবুনের রাত্রি নয় তার হৃদয়ের
রাত্রির বেবুন।
 


সাহিত্য >> কবিতা