আজ তুমি কোথায় আছো, কেমন আছো জানি না।
বহুদিন দেখি না তোমায়,
মাঝে মাঝে তোমাকে দেখার খুব সাধ হয় আজও;
আজও তোমার চোখের চঞ্চলতা আমাকে
টেনে নিয়ে যায় অতীতের পানে।
হাওয়ায় দুলানো বেণী, কপালের ছোট টিপ
টানা টানা কাজল পরা চোখ
আর তাতে চঞ্চল অথচ গভীর দৃষ্টি
বাঁকা ঠোঁটে দুষ্টুমির এক চিলতে হাসি -
আজও আমার হৃদয়ের শান্ত ভূমিকে
জলোচ্ছ্বাসের মত প্লাবিত করে;
বৈশাখী ঘুর্ণি হাওয়ার মত দুমরে মুচড়ে
উড়িয়ে নিয়ে যায় আমাকে।
তোমাকে এক পলক দেখার আশায়
কত অজুহাতে তোমার পথের পাশে
দাঁড়িয়ে থেকেছি সে তুমি জানতে না; তবে
এটা তুমি ঠিকই বুঝেছিলে, তোমাকে কতটা পছন্দ আমার।
আর তাই হয়ত একদিন হঠাৎ ঘুরে দাঁড়িয়ে সুধালে,
“আপনি কি আমায় ভালোবাসেন?”
তোমার আকস্মিক ও সরাসরি প্রশ্নে হতভম্ব এ আমি
কোন উত্তর না দিয়েই সেদিন পালিয়েছিলাম, কারণ
সেদিন নিজেকে যোগ্য মনে হয়নি তোমার জন্য।
আমি তোমাকে সত্যি ভালোবাসি, ভীষণ ভালোবাসি।
আজ আমি প্রতিষ্ঠিত ও যোগ্য; তাই
নিঃসংকোচে বলতে পারি - ভালোবাসি তোমায়।
ভয়হীন চিত্তে, দ্বিধাহীন কন্ঠে, প্রচন্ড আত্মবিশ্বাসে আজ আমি
জনসমুদ্রের মাঝে বিদ্যুৎ স্ফুলিঙ্গের মত
গগনবিদারী শব্দে বলতে পারি -
এসো প্রিয়তমা, এসো আমার ভালোবাসার ঘরে।
গোলাপের পাপড়ি বিছিয়ে, ধূপের ধোঁয়ায় সুগন্ধি ছড়িয়ে
শুধু তোমারই প্রতীক্ষায় দ্বার খুলে বসে আছি।
কিন্তু ভাগ্যের কাছে মানুষ কত অসহায় !
যখন তুমি ছিলে তখন আমার যোগ্যতা ছিল না,
আজ আমার সব আছে শুধু তুমি নেই;
এমনকি কোথায় আছো সে খবরও জানা নেই আমার
কতটা দূরে বা কাছে তাও জানিনা সঠিক;
যেখানেই থাকো ভালো থেকো।