হে তিলোত্তমা নগরীর সুসভ্য নাগরিকগণ-
কেনো ক্রমাগত আমাকে ঠেলে দিচ্ছো নিষ্ঠুরতম মৃত্যুর দিকে ?
আমি তো শীতলতা দিয়ে সজীব করি তোমাদের বাতাস,
সুজলা আর পবিত্র করি বহমান শুদ্ধতার জলে।
অথচ তোমরা জরাজীর্ণ জীবনের সমস্ত মলিন আবর্জনা
নির্বিকারে ছুঁড়ে দাও আমার ধারায়
অবলীলায় আমার রক্তে মিশিয়ে দাও শিল্পকলের বিষাক্ত বর্জ্য ;
তোমাদের ভূমিলোভী দানবীয় হাত
ভূ-ভাগের সীমানা ছাড়িয়ে ইলাস্টিকের মতন
বাড়িয়ে দাও আমার সজল নরম বুকে !
আমি লজ্জায় অপমানে ঘৃণায় আক্রোশে লীন হতে থাকি ;
যন্ত্রণায় নীল হয়ে যাই বর্জ্যরে বিষক্রিয়ায়।
তবু তো সর্পিল সরু ধারায় আজও বেঁচে আছি ;
কিন্তু এভাবে চলতে থাকলে একদিন আর
এ বুকে সাঁতরে বেড়াবে না রুপালী তন্বী মাছ
আকাশে ধোঁয়া উড়িয়ে ছুটে চলবে না রকেট-স্টিমার
নরম হাওয়ায় পাল তুলবে না সাম্পান।
তাই আজ শেষবারের মতো বলছি-
এখনও সময় আছে, সাবধান হও ;
গুটিয়ে নাও ঐ দানবীয় দীর্ঘকায় হাত
বন্ধ কর বর্জ্য আর বিষের প্রবাহ।
তা না হলে সগোত্রীয় সকলে মিলে একদিন
হঠাৎ আমরা থেমে যাবো-
তোমাদের সুদর্শনা নগরী,
সবুজ শ্যামলা গ্রাম, বিস্তীর্ণ ফসলের মাঠ
জলাভাবে পরিণত হবে মরুতে ;
তোমাদের অকথ্য অত্যাচারের বিরুদ্ধে
এটাই হবে আমাদের নীরব প্রতিশোধ।