কি করে যে পার হয়ে গেলো সতেরটি সৌর বছর !
কি আশ্চর্য দ্রুততায় কেটে গেলো দিন-
সুখময় দিন বুঝি এভাবেই নিঃশব্দে দ্রুত পায়ে হেঁটে চলে যায় !
সাত জনমের সাথী হয়ে তুমি এ জীবনে এসে
আমার একেকটি দিন সাজিয়ে দিয়েছো
নতুন সাজে, নতুন সুরে, নতুন গানে আর ছন্দে !
প্রতিটি দিন রাঙিয়ে দিয়েছো নতুন আশায়, শতবর্ণে !
ফুলদানির সাজানো ফুলের মত প্রতিটি সকাল
ভরে দিয়েছো সুগন্ধে আর সতেজতায় !
ধূপের মত জ্বলে জ্বলে শান্তির ধোঁয়ায় ভরে দিয়েছো
আমার প্রতিটি কোণ:
প্রতিটি ক্ষণ ভরে দিয়েছো শুদ্ধতায় আর তৃপ্তিতে-
নিজে ক্ষয়ে ক্ষয়ে, চন্দনের মত !
পূর্ণিমা রাতের অবারিত জোৎস্নার মত
আমার প্রতিটি রাত ভরে দিয়েছো অপার স্নিগ্ধতায় !
আমাকে ক্রমাগত পূর্ণ করে গেছো- নিজেকে রিক্ত করে;
নিজেকে উজাড় করে আমার পৃথিবীকে করেছো
স্বর্গীয় সুন্দর, সুখময় ! তবু
কোনো অভিযোগ করনি কোনোদিন;
তোমার নিজের আকাশ যদিও মাঝে মাঝে
ঢেকেছে বিষন্ন মেঘে, কখনোবা বৃষ্টি নেমেছে নীরবে-
আমার আকাশ তবু রেখেছো নির্মল, ঝলমলে !
বিনিময়ে কিছুই পারিনি দিতে-
কী-ই বা দেবার ছিলো, বলো- কী আছে দেবার?
তুমি ছাড়া এ পার্থিব জগতে আছে কি
আর কোনো ঐশ্বর্য আমার ?
তাই হৃদয়-মন্দিরে তোমাকে দেবী করে
শুধু দিতে পারি প্রেমার্ঘ্য-
হৃদয়ের বিশাল বাগানে ফোটা ভালোবাসার সহস্র ফুলে !