নন্দিতা,
হঠাৎ এপথে কেনো ডাকলে আজ, এতদিন পরে !
মনে পরে,
কত বিকেলে নদীর ধারের এই বালুময় পথে
হেঁটে হেঁটে চলে গেছি মাইলের পর মাইল?
জলের ধারার মত কথার স্রোত
ঢেউ খেলে ভেসে গেছে ইথারে ইথারে।
তারপর সাঁই সাঁই করে মাথার উপর দিয়ে
দূরের পথে উড়ে গেছে পাখিদের ঝাঁক,
শেষ বেলার সঞ্চিত হলুদ-বাদামী আলোটুকু
আকাশে ছড়িয়ে সূর্য ডুবে গেছে পশ্চিমের ঘাটে,
ঐ নীড়মুখি পাখিদের মত
আঙ্গুলে আঙ্গুল ছুঁইয়ে ফিরে গেছি ঘরে।
তারপর পেরিয়ে গেছে সাতটি বছর;
যদিও সেই পথ, পথের বাঁকে সেই শিমুল গাছ
রয়ে গেছে আগেরকার মত;
তবু এপথে আসতেই কেনো বুকের ভেতর
টন্টন করে বেজে উঠল ব্যথার আওয়াজ !
মনে হলো, সেদিনের সব ধুয়ে মুছে গেছে
নদীর ভাঙ্গনে নিশ্চিহ্ন ঘর-গেরস্থালীর মত !
সেই সাত বছর অগেকার সাথে
আজকের ব্যাপক ব্যবধান !
নন্দিতা, এপথে আর কখনও ডেকো না।