আমার মন ভালো নেই, নন্দিতা ;
আজকাল ভালো থাকে না কখনোই
শুধু দুঃস্বপ্ন দেখি, শুধু রক্তাক্ত হই
আর ভিজে যাই বেদনায়।
শুভ্র আকাশ বারবার ছেয়ে যায় বিবর্ণ মেঘে
বারবার থমকে দাঁড়ায় অগ্রগতির চাকা,
অপশাসনের সজোর বাতাসে
ঝরে পড়ে সত্ত্বার মুকুল
মুছে যায় আলোবন্ত আগামীর ঠিকানা।
এক লম্পট গোষ্ঠী আজও বাড়িয়ে রেখেছে হাত
ছিঁড়ে ফেলতে সম্প্রীতির বাঁধন;
একদল ধূর্ত শেয়াল অপব্যাখ্যায় বিভ্রান্ত করে
সহজ সরল মানুষগুলোকে;
চালিত করে অশুভ লক্ষ্যে, ভুল পথে।,
গুপ্ত ঘাতক হয়ে কেড়ে নেয় তরতাজা প্রাণ
নিজেকে সঁপে দিয়ে মৃত্যুর করতলে।
নন্দিতা, কবে জাগবে ওরা?
কবে বুঝবে- মানুষের রক্তে ভেজা পথে হেঁটে
স্বর্গের দুয়ারে যায় না পৌঁছানো কিছুতেই।
আমার এ কথাগুলো শুনলেই তুমি বলো-
এতে যদি আর কারও দুশ্চিন্তা না হয়,
না হয় কষ্ট এতটুকু, তুমি কেনো কষ্ট পাবে শুধু !
তুমি জানো না, নন্দিতা, সবাই কষ্ট পায়;
শুধু বুঝতে পারি না তাদের ভেতরের ভাঙচুর;
যেমন তুমি ছাড়া আর কেউ জানে না-
প্রতিনিয়ত এ বুকে কি দুর্বিষহ তোলপাড় !
প্রতিরোধের অক্ষমতা কেমন করে
কেটে চলেছে ভেতরের কোমল তন্তুজাল
করাতের মতো কর্কশ-ধারালো দাঁতে !
কেউ তো দেখে না-
এ হৃদয় লণ্ডভণ্ড হয় কোন রক্তাক্ত ঝড়ে,
নির্বিকার পুড়ে মরে অন্তহীন আগুনে।