: হ্যালো
- হ্যাঁ বলছি
: এখনো জেগে আছো?
- সন্দেহ আছে? ভূতের গলার সঙ্গে মিলিয়ে ফেল নাকি?
: রেগে যাচ্ছ কেন? বলেছিইতো ক্লাস শেষ হলে রিং করব।
তাছাড়া সেদিন বললে না তোমার রাতের পড়া নষ্ট করি।
- করই তো
: কি বই পড়ছিলে?
- হুম, হিউম্যান সাইকোলজি
: এও পড়তে হয় নাকি
- পরীক্ষা পাশের জন্য নয় মনুষ্য হৃদয় জানিবার জন্য হে-
: কতটা পারলে? ডিস্টার্ব করছি না তো ?
- ওহু, সাহায্য করছ
: কেমন?
- তুমি গিনিপিগ। হিউম্যান সাইকোলজির প্র্যাকটিক্যাল এলিমেন্ট
: কি হলো? কথা বলছ না যে?
- তোমার সংস্কৃতি চর্চার কতদূর এগুলো?
: মাইল খানেক
- সে যাক পলির খবর কি?
: ভালো। তোমার কথা প্রায়ই বলে, কথা বলতে চায়।
- তাই নাকি?
“নিজের সাথে যুদ্ধ করি
তোমার সাথে মিত্রতা
নিজ হৃদয়ে মিথ্যে প্রবোধ
মানুষ বলে হিংস্রতা”
পলিকে বলো সাত দিনের প্রজেক্টে সব আধুনিক কবিতা
মুখস্ত করে ফেলব-
নিশ্চয়ই বাতিক আছে।
: বিয়ে করছ তাহলে ব্রহ্মচারী?
- নয়তো কি? তুমিই তো বলো বয়স্ক পুরুষ বড় নিঃসঙ্গ,
স্বস্তির জন্য, নিঃশ্বাসের জন্য ক্লান্তিতে হেলান দেয়ার
জন্য একজন সুবোধ সঙ্গী চাই। তা ছাড়া পলি! –যাকে
বলে সাক্ষাত অন্নপূর্ণা। রন্ধনে সিদ্ধহস্ত বিদ্যায় গরিয়সী,
সামাজিকতায় সমকালীন, ভূষণে আধুনিক আর
চিত্তহরণে আজরা জ্যাবিন।
: মানে?
- মানে যাদুকরী, আমার চিত্ত লুপ্তপ্রায়।
: ইয়ার্কী কর না। ওর মায়ের সাথে কথা বলব?
- তার আগে বলো আমাদের বিয়েতে কি দিচ্ছ?
: কেন?
- সেটা নিজে কিনে নিতে চাই
: মানে?
- মানে ৫৮০/= টাকা টেলিফোন বিল শোধ দিতে চাই
আমাকে রিং করে তোমার যে অর্থ দন্ডি হয়েছে।
: শোধ কেন?
- ঋণীই বা থাকবো কেন?
: প্রয়োজন তো আমার ছিল
- কিসের প্রয়োজোন?
এই একটু হৃদয় নাড়ানোর, স্বপ্নের উদ্যানে বীজ ছড়ানোর
কুয়াশার ক্যানভাসে কুয়াশা আঁকার কি এমন তুমুল
প্রয়োজন ছিল?
: তুমিই কি কখনো ভেবেছ আমার তৃষ্ণার্ত সূর্যের এক
একটি মৃত্যুর কথা
কখনো জানতে চেয়েছ কোন অহংকারে
কোন স্বপ্ন বুকে নিয়ে অন্ধকারে ডুবে থাকি আমি।
- আমি যদি একই প্রশ্ন তুলি?
: তুমিতো ব্রহ্মচারী, অনাসক্ত হৃদয় তোমার
এতো প্রাণ কোথা পাবো তোমাকে ভাসাই?
- অন্ধকারে অন্ধকার ঘষে কখনো কোথাও আলো জ্বলে।
তমা তুমি শুধু জ্বলাতে পার, পার না?