এই আমাকে নিয়েই মগ্ন ছিলাম
নিজস্ব ভুবনে একা
জীবন ও জীবিকার টানে, প্রাত্যহিক ব্যস্ততায়।
হঠাৎ বিধাতার আশীর্বাদ হয়ে একদিন
কোন্ধসঢ়; স্বপ্নলোক হতে নেমে এলে তুমি !
রঙে রসে সুরে ছন্দে ভরে দিলে জীবন
জ্বেলে দিলে প্রেমের শিখা অনির্বাণ
বদলে দিলে জীবনের সমস্ত সমীকরণ।
কথা ছিলো, হাত ধরে নিয়ে যাবে
পূর্ণিমার দেশে, পুষ্প শোভিত রথে;
সে কথা রাখোনি তুমি;
একা রেখে আমায়
অভিমানের খেয়া করে চলে গেলে মৃত্যুগঙ্গায়!
তবু ভুলতে পারি না-
শুভ্র শিউলি ভরা শরতের পূর্ণিমা রাতে
হেমন্তের রোদেলা বিকেলে
পৌষের শিশির ঝরা ভোরে
বসন্তের উদাস দুপুরে, শ্রাবণ মেঘের দিনে
শুধু তোমাকেই পড়ে মনে।
ক্ষণিকের অতিথি
অসীম তরফদার
পৌষের অতিথি হয়ে এলে তুমি
শীতের অকস্মাৎ এক পস্ধসঢ়;লা অকাল বৃষ্টির মতো;
সামান্য ব্যবধানে মাত্র কয়েকটি মুহূর্ত-
কোনো কথা নয়,
শুধু নীরবে দু-একবার
দুই জোড়া চোখের চকিত মিলন।
তোমার মায়াবী চোখ তীব্র আকর্ষণে
ভালোবেসে কাছে ডাকে নীরব ইশারায় ;
আমার শূন্য হৃদয় চায়
তোমাকেই শুধু-
তুমি লজ্জায় সরে যাও দূওে ;
আর আমি কেবল গুণে যাই
তোমার বিদায়ের প্রহর।
একটু পরেই তুমি চলে যাবে
থেকে যাবে ক্ষণিকের স্মৃতি;
পথে যেতে দেখা হয় যদি-
চিনবে কি আমাকে !
মুখোমুখি বসে বলবে কি কথা একান্তে ?