নির্ঘুম স্বপ্নের ভেতর হেঁটে হেঁটে
রাত শেষে পৌঁছে গেছি শুভ্র প্রভাতে,
অন্তহীন ভাবনার সহস্র গিরি-খাদ পাড়ি দিয়ে
সকালের রোদে মুখোমুখি বসি আমি ও সে ;
তাকে প্রশ্ন করি-
আমরা যে এতদিন ধরে একসাথে চলি
অন্তরঙ্গ কথা বলি, ভাগাভাগি করি আনন্দ-বেদনা
কী এর শেষ পরিণতি বা পরিণাম !
সে নিরুত্তর।
গতরাতের ভাবনাগুলো হোঁচট খেয়ে মুখ থুবড়ে পড়ে;
আজ তোমাকে একটা সিদ্ধান্ত নিতেই হবে,
আজ না পারলে কোনো কালেই আর পারবে না তুমি।
অনেকদিন কেটে গেছে, ধরা দাওনি কখনও
নিজেকে করোনি প্রকাশ।
দীঘির নিস্তরঙ্গ জলে ঢিল ছুঁড়ে জাগিয়েছো স্বপ্নের ঢেউ;
সেই স্বপ্ন যখন চারিদিকে হয়েছে বিস্তীর্ণ তখন তাকে
খণ্ডিত করবার নেই কোনো অধিকার !
কোনো কথা না বলে সে উঠে চলে যায় !
আমার দু’চোখ তবু চেয়ে থাকে পরম মায়ায়;
হৃৎপিণ্ডের অলিন্দ-নিলয় চুঁইয়ে ভিজে যায়
বুকের সবুজ ঘাস;
অসংকোচে ঝরে পড়া অশ্রুবিন্দুরা
স্বপ্নের কফিন বয়ে হেঁটে চলে শ্মশানের পথে;
ক্ষোভে দুঃখে অপমানে শোকাতুর আমি
পার্কের উন্মুক্ত প্রাঙ্গনে হাঁটু গেড়ে বসি;
চিৎকার করে কেঁদে ওঠে আমার বিবাগী মন !
তারপর…
আমার মাথার উপর হঠাৎ উপলদ্ধি করি
খুব চেনা হাতের ছোঁয়া, স্নেহের পরশ !
কিছু বুঝে ওঠার আগেই সে আমায় বুকে টেনে নেয়;
হাসি আর কান্নার মিশেলে এক ভিন্ন আবেশে আমি তখন
ঘুমিয়ে যাই তার বুকের বিছানায়।