ঘর রঙ করার সময় চোখের আরাম ও স্বাচ্ছন্দ্যের বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে। এছাড়া বাড়ির আসবাবপত্রের সাথে মিল রেখে রঙ করানোর আইডিয়াও খারাপ না। এতে ঘর বেশ ফাঁকা দেখায়। আধুনিক গৃহসজ্জায় ঘরকে রাঙানোর ক্ষেত্রে যোগ হয়েছে নতুন চিন্তাভাবনা।
দিন শেষে বিশ্রাম নিতে এবং সকালে নতুন উদ্যমে দিন শুরু করা হয় এই শোয়ার ঘর থেকে। শোয়ার ঘরকে একটি নির্দিষ্ট রঙে রাঙানো বা থিম ধরে সাজানোর প্রচলন বেশ আগে থেকেই জনপ্রিয়। শোয়ার ঘরের অন্দরসজ্জা ও রঙের বিন্যাস এমন হওয়া উচিত, যা একই সঙ্গে ক্লান্তি দূর করে এনে দিতে পারে সতেজতা। সে ক্ষেত্রে আকাশি, ফিরোজা, জলপাই বা শেওলা সবুজ, ল্যাভেন্ডার ইত্যাদি রং বেছে নিতে পারেন। এসব রং মনকে সতেজ ও প্রশমিত করে। এর পাশাপাশি হলুদ বা কমলা উষ্ণ ও আরামদায়ক রং হিসেবে শোয়ার ঘরে বেশ মানিয়ে যায়।
যদি আপনি ঘরকে বেশি রংচঙে না করতে চান, তাহলে বেছে নিতে পারেন সাদাকালো বা নিউট্রালের মতো কালার স্কিম। সাদাকালো সব সময়ই স্থানকালপাত্রভেদে জনপ্রিয় এবং এই দুটি রং পরস্পরের সঙ্গে দারুণভাবে ভারসাম্য বজায় রাখে। নিউট্রাল বা নিরপেক্ষ রঙের ক্ষেত্রে অফহোয়াইট, ছাই, বাদামি, ধূসর ইত্যাদি রংও মানানসই।
ঘর রাঙানো আগে একটা বিষয় মাথায় রাখতে হবে। ছোট ঘরের রঙ হতে হবে হালকা যাতে ঘর আকারে বড় দেখায়। যদি গাড় রঙ পছন্দ হয়ে থাকে তাহলে পছন্দের রং বা কালার স্কিম বেছে নেওয়ার পর ঘরের এক পাশের দেয়ালে সেই রঙের ব্যবহার করতে পারেন। পছন্দের রং দিয়ে ঘর সাজানোর জন্য দেয়াল থেকে মেঝে পর্যন্ত সবকিছু সেই রঙের প্রলেপে মুড়ে দিতে হবে—এমন ধারণা সঠিক নয়। দেয়াল ছাড়াও বিছানার চাদর, পর্দা অথবা কার্পেটের রং মিলিয়েও ঘরকে রঙিন আবহ দেওয়া যেতে পারে।