একদিন এক ছোট্ট টুনটুনি বাসা বেঁধেছিলো
উঠোনের কোনে, ঐ ছোট গাছের ডালে।
তার মধুর গানে কৃষ্ণচূড়া সেজে উঠত লাল ফুলে
শুকনো নদীতে প্লাবন আসতো তার নৃত্য-ঝঙ্কারে;
আমার প্রতিটি দিন পরিপূর্ণ হতো
তার নিবিড় সান্নিধ্যে, আহ্লাদে, আদরে।
জানি না কী অভিমানে জল ভরা চোখে
হঠাৎ সে চলে গেলো আমার পৃথিবী থেকে।
জানি, প্রতি রাতেই আকাশে জ্বলবে অযুত তারা
প্রতি রাতেই তারার সাথে জানি হবে নক্ষত্রের মিতালী;
একটি তারা শুধু আর আলো ছড়াবে না কোনোদিন !
হাজার পাখির গানে ভোরের উঠান হবে মুখরিত
শুধু একটি পাখির গান কোনোদিন আর শোনা যাবে না !
পাহাড়ের গা বেয়ে ঝর্ণা ঠিকই নেমে যাবে চঞ্চল পায়ে
মোহনায় গিয়ে নদীর ধারা লুটিয়ে পড়বে সাগরে
বনে-বাগানে গাছের শাখা ঠিকই ভরে উঠবে ফুলে ফুলে
শুধু ছোট্ট এক টুনটুনি কচি কচি পায়ে
আর বসবে না এসে জানালার গ্রিলে, ছাদের কার্নিশে
আর আমার নিজস্ব আঙিনায়।
কোনো কোনো চাঁদনী রাতে মন ব্যাকুল হবে
নির্জন রাতের বিষণ্ণ প্রহরে মনের আকাশে জড়ো হবে মেঘ;
সে নেই- মনে হতেই খা খা করে উঠবে বুকের ভেতর
স্মৃতি কাতর চোখ দুটি হঠাৎ ভিজে যাবে লোনাজলে; তবু
অপ্রতিরোধ্য আকাঙ্খায় এ হৃদয় উন্মুখ হয়ে থাকবে
শুধু তার ফিরে আসার প্রতীক্ষায় !