কাল সন্ধ্যায় তোমাকে দেখলাম, নন্দিতা;
কোজাগরী চাঁদ যখন সবে ছড়িয়েছে স্নিগ্ধ দ্যুতি
ঝিলের ওপারে কাশবনে তোমাকে দেখলাম
প্রবারণার ফানুস ওড়াতে !
কাশফুলে তোমার 'এলার্জি' ছিল প্রচুর
ফানুস ওড়ানো ছিলো ভীষণ অপছন্দের;
অথচ সেই তোমাকেই কাল নিজের চোখে...
শুনলাম, তোমাকে বৃষ্টিতেও ভিজতে দেখা গেছে !
দুজনে বৃষ্টিতে ভিজবো বলে কতদিন কতবার
তোমার সামনে হাঁটু গেড়ে বসেছি;
ঠান্ডা কাঁশির ভয়ে আমার তীব্র আকাঙ্খাকে
তুমি উপেক্ষা করে গেছো ক্রমাগত !
আমার খুব অবাক লাগে, নন্দিতা
যা আমার অনুরোধেও করোনি কখনো আগে
আজকাল তার সবই করছো তুমি;
সেকি শুধুই অভিমানে নাকি জয়ের নেশায় ?
প্রত্যাশিত রঙিন ঘুড়িগুলো উড়তে দেখে খুব খুশি হই;
অভিমান করে কিংবা আমাকে হারাতে চেয়ে হলেও
ধীরে ধীরে তুমি এগিয়ে চলেছো একই গন্তব্যে !
চলতে চলতে আমরা ছুঁয়ে যাচ্ছি একেকটি মাইল ফলক
হয়তো কেউ একটু আগে আর কেউ বা পরে !
ফিরে এসো নন্দিতা,
সেই পুরাতন পথে, কাঁঠালি চাঁপার বনে, বিশুদ্ধ জোৎস্নায় !
মান অভিমান থাকতেই পারে, নন্দিতা
বন্ধুত্বে আর ভালোবাসায় জয়ের নেশা থাকতে নেই !
ভালোবাসার সবুজ প্রান্তরে মাঝে মাঝে বাদল নামে
আসে ঝড় কিংবা প্লাবন, আসে পাতা ঝরার দিন;
অভিমানী মেঘ কেটে গেলে আবার ফোটে সূর্যমুখী।