করিম অথবা হরিপদো হবে, যাই হোক ওর নাম
রিকশা চালিয়ে ঘুরে রাজধানী, বস্তিতে ওর ধাম।
ছেলে মেয়ে আছে, সংসার আছে, কতকিছু লাগে কেনা,
এরপরও তাকে দিতে হয় রোজ গাড়ি মালিকের দেনা।
হয়তো অভাবে বা যেকোনো ভাবে লেখা পড়া ওর হয়নি
তাই বারোমাস শ্রমে হাহুতাশ অন্য কর্ম জোটেনি।
পার্কে, বাসায়, অলিতে-গলিতে যাত্রী টানার কর্ম
পাঁচশ হাজার হয়ে যায় প্রায়ই চলে সংসার ধর্ম।
দু'হাজার বিশে, মার্চ ছাব্বিশে যথারীতি প্রাতে পথে,
সকাল গড়ালো, দুপুর পেড়োলো কেউ তো আসেনি কাছে !
দেখে অবশেষে হাসি কাশি সাথে উঠলো প্যাসেঞ্জার
কাছেই বাসার গেটে নেমে দিল যা ছিল পকেটে তার।
গোটা দিন আর রাতেরও কিছুটা কাল শেষে বাড়ি যায়
মেয়েটাকে বলে বলবি কালকে, "কী হবে বিশ টাকায়?"
মেয়ে বলে, "বাবা, টাকা যাই হোক, করোনা না যেন ধরে,
তাহলে কিন্তু মোরা চারজন শেষ হব চিরতরে। "
বাবা বলে, "মাগো, ব্যামো হলে পরে ধীরে ধীরে মরে যাবো,
টাকা না এলেও মরার আগে অনাহারে মরে যাবো"।
ওদের মতন শ্রমজীবী যারা দিন আনে দিন খায়,
এখনই ভাবার সময় যাচ্ছে, এজন্য কী করা যায়।
চাকুরী, ব্যবসা, ভূমি-মালিকানা যাদের দখলে আছে,
জাগুক সকলে, এইতো সময়, দাঁড়াক তাদেরকাছে।
মনের ভেতরে, কথার লহরে ঢুকে আছে মানবতা,
মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে দেখাই- কাকে বলে মানবতা।