আমাদের প্রতিদিনকার নানা ধরনের সুস্বাদু খাবার তৈরির গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান হলো কিসমিস। কিসমিস আসলে শুকনো আঙুর। কারন এটি তৈরি করা হয় আঙুর শুকিয়ে। শুকানোর ফলে এর নানা ধরনের রং তৈরি হয়। কিসমিস খাবারে যোগ করা হলে খাবারের স্বাদ বেড়ে যায় বহুগুণ।
কিসমিস একধরনের ড্রাই ফ্রুটস হলেও এর রয়েছে নানা ধরনের পুষ্টিগুণ। কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টিগুণ নিম্নে তুলে ধরা হলো
সব ড্রায়েড ফ্রুট যেমন খেজুর, কাজুবাদাম ইত্যাদির মতই কিসমিস সুস্থ উপায়ে ওজন বাড়াতে সাহায্য করে। কারণ এতে আছে প্রচুর ফ্রুক্টোজ, গ্লুকোজ যা আমাদের শরীরের শক্তির মূল উৎস। ফলে খুব সহজেই সুস্থভাবে আমাদের দেহের ওজন বেড়ে যায়।
কিসমিসে থাকা বোরন মস্তিষ্কের জন্য খুবই উপকারী। এটি বাচ্চাদের পড়াশোনাতেও মনোযোগী করে তুলতে পারে। এছাড়াও, ভিটামিন বি কমপ্লেক্সের অন্তর্গত বেশ কিছু ভিটামিন এতে পাওয়া যায়, যা নতুন রক্ত তৈরিতে সাহায্য করে। কিসমিসে কপারও থাকে যা রেড ব্লাড সেল তৈরিতে সাহায্য করে।
কিসমিস চোখের জন্য আদর্শ খাবার। এটি দৃষ্টিশক্তি বাড়ায়। কিসমিসে রয়েছে ভিটামিন-এ ও বিটা ক্যারোটিন। এছাড়া অস্টিওপোরোসিস নামক হাড়ক্ষয় রোগ প্রতিরোধ করে।
কিসমিসে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে যা শরীরের পরিপাকক্রিয়ায় দ্রুত সাহায্য করে। এতে করে খাবার সহজে হজম হয় এবং শরীরের কোষ্ঠ্যকাঠিন্যর মত সমস্যা দূর করে। কিসমিসে ভিটামিন এবং খনিজগুলির সাথে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস এবং পলিফেনলগুলির যা আমাদের দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।