"ভালো থেকো, অনেক অনেক বেশি ভালো"
নন্দিতা, এ শব্দগুলো তোমার কন্ঠে উচ্চারিত হলে
অসম্ভব দ্রুততায় কর্ণগহ্বর হয়ে অদ্বুত দ্যোতনায়
ছড়িয়ে পড়ে স্নায়ুতন্ত্রের রন্ধ্রে রন্ধ্রে !
তোমার একবার উচ্চারিত শব্দমালা
সহস্রবার প্রতিধ্বনিত হয় মস্তিষ্কের কোষে কোষে !
আমার ভালো থাকার টনিক-
তোমার কন্ঠের ওই শব্দগুলো তবু শুনি না কতকাল
কতদিন পাই না তোমার মধুর পরশ !
আমি কি করে ভালো থাকি নন্দিতা ?
সত্যি ভালো নেই আমি
বড় বেশি দুঃসময়ের মাঝে কোনো রকম বেঁচে আছি;
হৃৎপিণ্ডের রক্তাক্ত ক্ষত মেহেদী পাতার মতন
লুকিয়ে রেখেছি সবুজের আচ্ছাদনে।
অনুযোগ নেই কোনো
অভিযোগ তো ছিলো না কোনো কালেই; তবু
মাঝে মাঝে জানতে ইচ্ছে হয়-
সেদিন যখন
হাত বাড়ালেই ছুঁতে পারতে গোলাপ
পা বাড়ালেই পেরুতে পারতে কালিগঙ্গা নদী
তখন তুমি কী দ্বিধায় থেকেছিলে নিশ্চল ?
একবার এসো নন্দিতা-
স্বপ্নের ভুবন থেকে চন্দ্রখেয়ায় করে নেমে এসো
অবারিত জ্যোত্স্না ভরা বিমূর্ত রাতে;
আর একবার তোমার কন্ঠে ধ্বনিত হোক
ওই মঙ্গলময় শব্দমালা
অনুরণন তুলুক আমার অলিন্দে নিলয়ে আর
অযুত বার প্রতিধ্বনিত হোক ইথারে ইথারে।