করোনার কারনে আমরা সবাই অবরুদ্ধ যার যার ঘরে। দুর্যোগের এই দিনগুলোতে পুলিশ, ৱ্যাব ও সেনা বাহিনীর সদস্যগণ নিরলস ভাবে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। নিষ্ঠার সাথে কাজ করে যাচ্ছেন ফায়ার সার্ভিস, আনসার, ভিডিপির সদস্যগণও। যে যার ঘরে বসে আমরা যে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ পাচ্ছি, পাচ্ছি রান্না করার গ্যাস, প্রয়োজনীয় পানি সরবরাহ, টিভি দেখার জন্য ডিশ লাইন, কথা বলার জন্য ফোন ও মোবাইল সেবা, ইন্টারনেটসেবা এগুলো নিশ্চিত করতে নিবেদিত হয়ে কাজ করে যাচ্ছেন অনেক গুলো মানুষ।
টিভি, রেডিও ও সংবাদপত্রের মাঠ পর্যায়ের সংবাদকর্মী সহ নেপথ্যের সকলে অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন আমাদের কাছে সর্বশেষ সংবাদ পৌঁছে দেবার জন্য। অর্থের আদান প্রদানের জন্য ব্যাংকের শাখা কিংবা এটিএম, বিকাশ, রকেট বা নগদ সেবায় যারা আছেন তাদের কথাও বাদ দেয়া যাবে না। যারা পরিচ্ছন্নতার দায়িত্বে নিয়োজিত, যারা সারাদিন রাস্তা-ঘটে, অলিতে-গলিতে জীবাণুনাশক ছিটাচ্ছেন, তাদের কথাও বিশেষ ভাবে বলতে হয়। ঔষধের দোকান, মুদি দোকান ও কাঁচা বাজার খোলা রেখে আমাদের জন্য ঔষধ ও খাদ্য সামগ্রী প্রাপ্তির ব্যবস্থা করছেন, বলতে হয় তাদের কথাও। যারা এম্বুলেন্স সেবা দিচ্ছেন, জরুরী প্রয়োজনে এখান থেকে সেখানে যাবার জন্য যারা রিকশা, সিএনজি ও অন্যান্য যান চালাচ্ছেন, যারা ঔষধ ও পণ্য পরিবহনের জন্য ছুটে বেড়াচ্ছেন তাদের ভূমিকাও কিন্তু কম নয়। ডাক্তার, নার্স, ওয়ার্ডবয় সহ চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত প্রতিটি মানুষ সম্মুখ যোদ্ধা হয়ে করোনার বিরুদ্ধে লড়ে যাচ্ছেন দিন-রাত।
এক দল গবেষক প্রতিনিয়ত কাজ করছেন করোনা সনাক্তকরণ কীট, প্রতিষেধক এবং ঔষধ তৈরির জন্য। নানা মানুষের শ্রমে তৈরী ও সরবরাহ হচ্ছে পিপিই ও নানা মেডিক্যাল আইটেম। এক দল মানুষ সেচ্ছাসেবক হয়ে ঔষধ, খাবার ও ত্রাণ পৌঁছে দিচ্ছেন নানা প্রান্তের অবরুদ্ধ মানুষের কাছে। এভাবে কতজন এ যুদ্ধে সরাসরি ভূমিকা রেখে যাচ্ছেন, কতজন পরোক্ষ ভাবে ভূমিকা রাখছেন তা হয়তো বলে শেষ করা সম্ভব নয়। তারা প্রত্যেকেই কিন্তু ঝুঁকি নিয়েই তাদের কাজগুলো করে যাচ্ছেন। তাদের সকলের প্রতি ভালোবাসা ও কৃতজ্ঞতা।
যাদের সত্যিকার অর্থেই কোনো জরুরি প্রয়োজন নেই তারা সবাই ঘরে থাকুন। নিজে বাঁচুন, অপরকে বাঁচতে সাহায্য করুন। সকলেই সুস্থ থাকুন, নিরাপদে থাকুন।