বছরখানেকের জন্য শীতের পোশাক আলমারিতে রাখার আগে কিছু বাড়তি যত্ন নিতে হয় । শীতের পোশাকের যত্ন নেওয়া টাও খুব গুরুত্বপূর্ণ। তাই বিশেষ নিয়ম না মানলে পোশাক নষ্ট হওয়ার ভয় থাকে। শীতের পোশাক গুলির ফ্যাব্রিক এক একটার এক এক রকম। তাই ধোওয়ার সময় অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে সেই বিষয়টি। সঠিক পদ্ধতিতে যত্ন নিলে সামনের শীতে আবার পোশাকগুলি ফের ভাল অবস্থায় নামানো যাবে। শীত শেষে কী ভাবে নেবেন গরম পোশাকের যত্ন, রইল সে সব টিপস।
উলের পোশাকের যত্ন
• উলের পোশাক অনেক সময় দোকানে দেয়া হয় পরিষ্কার করার জন্য। চাইলে ঘরেও ধোওয়া যায় উলের কাপড়। উলের পোশাক গরম জলে ভুলেও ধোবেন না। কড়া ডিটারজেন্ট উলের কাপর নষ্ট করে ফেলে। তাই কম ক্ষার যুক্ত সাবা ব্যবহার করুন। স্বাভাবিক তাপমাত্রার জলে ভিজিয়ে রাখুন। তবে মিনিট পনেরোর বেশি নয়। তারপর সাবধানে অল্প ঘষে পরিষ্কার জলে বার দুয়েক ধুয়ে নিলেই হবে। সাবানের পরিবর্তে শ্যাম্পু বা শীতের পোশাকের জন্য বিশেষ কার্যকর এমন কোনও ডিটারজেন্টও ব্যবহার করতে পারেন।
• উলের পোশাক কাচার পর বেশি নিংড়াবেন না। প্রয়োজনে কলের উপর রেখে জল ঝরিয়ে নিন।
• উলের পোশাক ঝুলিয়ে শুকোতে দেবেন না। ছাদে কিংবা বারান্দায় যেখানে ভাল রোদ আসে এমন জায়গায় মাটিতে তোয়ালে পেতে শুকোতে দিন।
• ঘন ঘন শীতের পোশাক কখনই ধোবেন না। এতে পোশাক তার কোমলতা আর ঔজ্জল্য দু’ই হারায়।
• সোয়েটারে কিংবা শালে অল্প কোথাও দাগ লাগলে সেই অংশটুকু ধুয়ে নিন। পুরো পোশাকটির কাচার দরকার নেই।
• ঘাম-যুক্ত উলের পোশাক আলমারিতে তুলে রেখে দেবেন না এতে পোকামাকড়ের আক্রমণ হতে পারে।
• অনেকেই ড্রাই ক্লিনিং থেকে শীতের পোশাক ধুয়ে আনেন। ড্রাই ক্লিনিংয়ের সময় নানা রকম কেমিক্যাল ব্যবহার করা হয়।তাই সে ক্ষেত্রেও কিন্তু কাপড়গুলি একবার রোদে শুকিয়ে তারপরেই আলমারিতে তুলুন।
• ইস্ত্রি করার আগে উলের জামাকাপড় উল্টো করে নিয়ে তারপর আয়রন করুন।
• রোদে শুকোনো শীতের পোশাকগুলি প্লাস্টিকের এয়ারটাইট প্যাকেটে ভরে তবে আলমারিতে রাখুন।
• আলমারি কাঠের হলে উলের কাপড়ে পোকামাকড় আক্রমণের সম্ভাবনা থাকে। সে ক্ষেত্রে একটা কাগজে কয়েকটা কর্পূরের টুকরো আর কয়েকটা গোটা গোলমরিচ রেখে মুরে নিন। আলমারির ফাঁকে ফাঁকে রেখে দিন। এই উপায় পোকামাকড়ের হাত থেকে রেহাই পাবে উলের বস্ত্র।