যাবার বেলায় একবারও তাকিয়ো না ফিরে
এক ফোঁটা অশ্রু এনো না দু’চোখে ;
শুধু নতুন স্বপ্নেরা ডানা মেলুক
তোমার নয়ন সাগরে, হৃদয় আকাশে।
পূর্ণ চাঁদের মতো দীপ্তিময় মুখশ্রী তোমার;
দীঘল চুল অমাবস্যা রাতের মতো ঘন কালো আর
পাখির পালকের মতো রেশমী,
গোলাপী ঠোঁটে শিশুর সরল হাসি,
অষ্টাদশী তনু দেহে আষাঢ়ের ভরা নদীর জোয়ার...
একদিন তোমার কুসুমে এলো এক বর্ণচোরা কীট;
হাত বাড়ালো বন্ধু হতে, সরল বিশ্বাসে তুমিও দিলে প্রশ্রয়।
মিথ্যে আচ্ছাদনে লুকানো রূপটা যখন উন্মোচিত হলো
দেখলে-এক বিষাক্ত কীট!
অনিচ্ছা সত্ত্বেও ঢুকে যেতে চায়
তোমার সাজানো গোছানো ব্যক্তিগত ঘরে।
সেদিন দুঃখ করে বললে-
‘মানুষ চিনতে এত ভুল করলাম আমি !’
সত্যি, ভুল করেছো বন্ধু চিনতে-
তাই আজ নিজস্ব স্বপ্নের বলিদান করে
আপন গণ্ডি ছেড়ে, ত্যাগ করে প্রিয়জনের সান্নিধ্য
চলেছো নির্বাসনে-নিজের সম্ভ্রম আর নিজেকে বাঁচাতে
নোংরা কীটের ঘৃণ্য লালসা আর হিংস্র থাবা থেকে !
যাবার বেলায় অশ্রু নয়; ক্রোধের অনলে জ্বলুক তোমার চোখ ;
নিঃশ্বাসে হতাশা নয়-বয়ে যাক প্রতিহিংসার ঘূর্ণি !
আগুন-ঝড়ে ধ্বংস হবেই পাষণ্ডের লালসা ;
তারপর স্বস্তির বৃষ্টিতে নেচে নেচে ভিজবে নিজের আঙিনায়
আর প্রিয় গানটি গাইবে পরম নিশ্চিন্তে।