: শেষ দেখা কবে হয়েছিল মনে নেই, কবে শেষ কথা;
ভালোইতো ছিলাম ভুলে
কেন এতদিন পর ডেকে আনলে হঠাৎ!
: সত্যি করে বলতো-
মনে মনে তুমি প্রত্যাশা করনি- আমি আসি?
আমি কিন্তু আশায় ছিলাম...
: কতবার আমিও ভেবেছি,
পথ চলতে গিয়ে এত জনের সাথে দেখা হয়
নন্দিতার সাথে দেখা হতে পারে না একবার?
এত মানুষের মুখ দেখি
নন্দিতার মুখখানি যদি দেখতে পেতাম!
কিন্তু যতবার ভেবেছি ততবারই পড়েছি দ্বিধায়
নিজের প্রতিচ্ছবিই বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে নিজের সামনে-
যদি অপছন্দ কর অথবা বিব্রত হও,
যদি ভুলে যেতে চাও আমাকে ঘিরে পুরানো অধ্যায়!
: সম্ভব হলেতো বেঁচেই যেতাম;
মাঝে মাঝে ভাবি-
ঈশ্বর যদি মিলিয়েই না দিলেন
কেন যে দিলেন না ভুলে যাবার শক্তি !
যদি আলাদাই করে দিলেন
কেন মনের ভিতর জিইয়ে রাখলেন
এত প্রেম, এত মায়া, স্নেহ, ভালোবাসা!
জানি, যা কিছু হবার ছিল
অপরিণত বয়সের সিদ্ধান্তহীনতার কারণে হয়নি যা কিছু-
সবই মেনে নিয়েছো সহজে; তাই
আমার কষ্টের বোঝা আরও অনেক গুন বেশি।
: হাত খানি একবার দেবে? একটু ধরে থাকি...
: সব সময় এত ফরমাল কেন, বলতো?
সেই ছেলেমানুষী মনটা আজও বেঁচে আছে;
না হয় একটু পাগলামীই করলাম!
একি! তোমার হাত কি কাঁপছে!
নাকি আমার হাত!
: সম্ভবত দুজনেরই।
এত বছর পরে দেখা,
একটু খানি স্পর্শ পেয়ে, এতটুকু উষ্ণতা পেয়ে
বহু বছরের সঞ্চিত কথাগুলো
দিশেহারা হয়ে বেরুতে চাইছে।
বিধাতার কাছে খুব বেশি কিছু চাইনি কখনও
(তোমাকে ছাড়া) সবই প্রায় পূর্ণ করেছেন তিনি।
আজ এত বছর পরেও ভালোবেসে কাছে ডেকেছ-
মনে হচ্ছে, আমি পৃথিবীর সবচেয়ে সুখি মানুষ,
সবচেয়ে সার্থক প্রেমিক!
: একবার উঠে দাঁড়াবে?
মনটা চাইছে তোমার বুকে জড়িয়ে থাকি...
: এ কী মায়ায় জড়ালে আবার নতুন করে!
ভালোইতো ছিলাম, আবার যদি হারাই...
আবার কবে দেখা হবে?
: যখন তুমি অন্তর থেকে ডাকবে!
আজ তবে চলি-
তুমি ভালো থেকো, অনেক বেশি ভালো...