বহু বছর পর আবার পা রাখলাম এই পুরাতন পথে !
এতো বছরে যদিও অনেকটাই বদলে গেছে পথ,
দুপাশের স্থাপনা, গাছপালা, ঘর-বাড়ি, এমন কি নদী !
তবু এ পথের প্রতিটি বাঁক, প্রতিটি ধূলিকণা আজও
আমার ভীষণ চেনা; বড় বেশি আপন।
এখানে কালিগঙ্গার ওপর এখন নিকট দূরত্বে দুটি সেতু;
একটিতে দাঁড়িয়ে যখন দূরের সেতুটির দিকে তাকালাম
তখনই মনে পড়ে গেলো, এরই মধ্যবর্তী কোনো এক জায়গায়
আমাকে সাথে করে একদিন যেতে চেয়েছিলে-
যেখানে আমাদের আর যাওয়া হয়নি কোনোদিন !
অপ্রত্যাশিত ভাবেই তোমাদের প্রতিবেশীর উঠোনে
দেখা হলো তোমার মা-বাবার সাথে !
বরাবরের মতই অকৃত্রিম আন্তরিকতায় আমি আপ্লুত।
আচ্ছা, নন্দিতা, তাঁরা কি বুঝতে পারেন,
আজো তোমার শুভাকাঙ্ক্ষী আমি ! কিংবা
দূর থেকে আজো তুমি ভালোবাসো আমাকে ?
তোমাদের টিনের ঘরটি অনেকটা বুড়ো হয়ে গেছে;
যে জানালা দিয়ে মুগ্ধ চোখে তোমাকে দেখতাম, সেটি বন্ধ !
জানি, তুমি বহু বছর থাকো না এখানে।
তবু কখনও এলে তুমি কি জানালাটা খুলে দাও?
কখনও কি আকাশ দেখো?
তখন কি আমাকে মনে পরে, নন্দিতা?
সেই কৃষ্ণচূড়া আর নেই, যার ছায়ায় দাঁড়িয়ে এক তপ্ত দুপুরে
তোমার জল ভরা চোখে দেখেছিলাম অস্থির ব্যাকুলতা !
তুমি তো জানো না নন্দিতা,
সাতাশ বছর পরে আজও আমি কৃষ্ণচূড়ার তলায়
পথের ধুলোতে তোমার দুচোখ থেকে টুপটাপ ঝরে পড়া
সেই ভালোবাসা কুড়াতে আসি !
হ্যাঁ নন্দিতা, তোমার ভালোবাসায় ভিজতে আসি !