Choose your product from the mega showcase from thousands of sellers
BD Trade Blogs
> Blogs > মন ও মনন > মানসিক চাপের ক্ষতিকর কিছু দিক

মানসিক চাপের ক্ষতিকর কিছু দিক


সারাহ জেবীন

মানুষ প্রায়ই কর্মব্যস্ততার কারনে মানসিক চাপ অনুভব করে। এই মানসিক চাপ অনেক সময় স্বল্প মেয়াদে মানুষকে কাজের প্রতি আগ্রহী হতে সহায়তা করে। যেমন- আপনি যদি চাকরি থেকে ছাঁটাই হয়ে যাওয়া নিয়ে উদ্বেগ অনুভব করেন, তবে নতুন চাকরি খুঁজতে তৎপর হয়ে উঠবেন।

কিন্তু মানসিক চাপ বা উদ্বেগ মানুষের মধ্যে দীর্ঘমেয়াদি সমস্যারও জন্ম দেয়। যেমন- 

  • কর্মদক্ষতা কমে যাওয়া
  • ঘুমের ব্যাঘাত 
  • খাদ্যের প্রতি অনীহা 
  • অ্যালকোহল, তামাক বা মাদকাসক্তি
  • বিরক্তি বা খিটখিটে মেজাজ 


এ ছাড়াও দীর্ঘদিন মানসিক চাপ অনুভবের কারণে মানুষের অগোচরে জন্ম নিতে পারে ভয়ানক এক সমস্যা। উদ্বেগের মুহূর্তে দেহের সহানুভূতিশীল নার্ভাস সিস্টেম সক্রিয় হয়ে ওঠে। ফলে মানুষের দেহ উদ্বেগ দমনে নিজের অজান্তেই শারীরিকভাবে প্রস্তুতি গ্রহণ করে। এ পর্যায়ে মানুষ শারীরিক দিক থেকে আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে। হয়তো আপনি কখনোই আপনার চাকরিদাতাকে শারীরিক আঘাত করতে চাইবেন না, কিন্তু মানুষ এ পরিস্থিতিতে এমনটাই করে বসে। এ রকম পরিস্থিতিতে দেহে যেসব পরিবর্তন পরিলক্ষিত হয়- 

  • মাথা ঘোরা 
  • হূৎস্পন্দন বৃদ্ধি দ্রুত শ্বাস-প্রশ্বাস 
  • বমি বমি ভাব 
  • মাথা ব্যথা 
  • পেশিতে টান অনুভব করা। এ পরিবর্তনগুলোর মূল কারণ কর্টিসোল।

 

কর্টিসোল এক প্রকার হরমোন, যা দেহের গ্লুকোজ নিঃসরণ ঘটায়। এই গ্লুকোজ পেশিতে শক্তি সরবরাহ করে এবং হুমকিকে শারীরিকভাবে আঘাত করতে প্ররোচিত করে। কর্টিসোল দেহের ইনসুলিন উৎপাদনও বাধাগ্রস্ত করে। দীর্ঘমেয়াদি মানসিক চাপের ক্ষেত্রে দেহ কর্টিসোল উৎপাদন অব্যাহত রাখে এবং তা বিভিন্ন শারীরিক ব্যাধি যেমন- ডায়াবেটিস, হৃদরোগ ও দীর্ঘমেয়াদি পরিপাক সংক্রান্ত রোগের জন্ম দেয়।


মানসিক চাপ এড়ানোর উপায়

বিভিন্ন কারনে জীবনে মানসিক চাপ বাড়তে পারে, জেনে নিন কীভাবে মানসিক চাপ, উদ্বেগ, দুশ্চিন্তা ইত্যাদিকে সহজেই জীবন থেকে দূরে ঠেলে দেওয়া যায়। এক্ষেত্রে মনোবিজ্ঞানীরা নিন্মোক্ত পদ্ধতিগুলো অনুসরণ করার পরামর্শ দেন-

  • পর্যাপ্ত ঘুম
  • স্বাস্থ্যকর খাদ্য গ্রহণ 
  • মেডিটেশন বা ধ্যান 
  • নিয়মিত ব্যায়াম 
  • পরিবার ও প্রিয়জনদের সঙ্গে সময় কাটানো 
  • খেলাধুলা ও বিনোদনমূলক কাজকর্ম করা 
  • সামাজিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ
  • প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ।


বিবিধ >> মন ও মনন