যে কোন সম্পর্কেই অল্পবিস্তর মানিয়ে নিতে আমরা সকলেই শিখে নিই, কারণ তা না হলে সম্পর্কটাই নড়বড়ে হয়ে যেতে বসে! মেনে নেওয়া আর মানিয়ে নেওয়াকে অবলম্বন করেই চলে আমাদের সম্পর্কের যাত্রা। কিন্তু কত দূর পর্যন্ত চলতে পারে এই মেনে নেওয়া আর মানিয়ে নেওয়া, কোন কোন বিষয়গুলো নিয়ে কোনওমতেই দরাদরি চলে না, কোন কোন ক্ষেত্রে প্রশ্নচিহ্ন থাকলে সম্পর্কটার অস্তিত্ব নিয়েই সংশয় জন্মায় চোখ বুলিয়ে নিন এমনই কিছু বিষয়ে। সমস্ত মেনে নেওয়া-মানিয়ে নেওয়া পেরিয়েও যে বিষয়গুলো নিয়ে কখনওই আপস করা সম্ভব নয়-
সম্মানবোধ
পরস্পরের চিন্তাভাবনা, আদর্শ, বিশ্বাসের ব্যাপারে শ্রদ্ধাশীল হওয়া দরকার। পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও সম্মানবোধ না থাকলে সম্পর্ক টিকিয়ে রাখা সম্ভব নয়।
নিজেকে প্রকাশ করা
সব সময় কথা বলতে ভালো না লাগলেও বিশেষ করে প্রচণ্ড চাপের পর অফিস থেকে ফিরে যতই ক্লান্তি থাকুক না কেন খানিকটা হলেও পরিবার কে সময় দিন। কিন্তু নিজেকে পরিবারের কাছ থেকে একেবারে গুটিয়ে রাখবেন না। আপনার অসুবিধের জায়গাটা অন্তত সবাই কে বুঝতে দিন।
দায়বদ্ধতা
সম্পর্কের প্রথমদিনগুলোতেই পরস্পরের কাছ থেকে দায়বদ্ধতা বা প্রতিশ্রুতিবদ্ধতার আশা করাটা বাড়াবাড়ি। কিন্তু সেই সদিচ্ছাটা থাকা জরুরি, যাতে অন্তত এটুকু বোঝা যায় যে আপনারা জীবনের বাকি পথটা একসঙ্গে হাঁটার জন্য চেষ্টা করতে রাজি।
স্নেহ-ভালোবাসা
সম্পর্কে স্নেহ-ভালোবাসার প্রয়োজনীয়তা অসীম। তাই পরিস্থিতি যেমনই হোক কাছের মানুষকে এটা বুঝানো জরুরী যে কোন পরিস্থিতিতে আপনি তার সাথে আছেন। এই দৃঢ়তাই সম্পর্ককে অনেক প্রতিকূল পরিস্থিতিতে অটুট রাখতে সাহায্য করে।
সততা
যে কোনও সম্পর্কেই সততার মূল্য অপরিসীম। সততা আর পারস্পরিক বিশ্বাসই সম্পর্ককে সতেজ রাখতে সাহায্য করে।
স্পষ্টতা
একটা সম্পর্ক থেকে কী চান, সেটা দু’জনের কাছেই স্পষ্ট থাকা জরুরী। না হলে ভবিষ্যতে সমস্যা এড়ানো যাবে না। সম্পর্কটা কোনদিকে গড়াতে চলেছে, তা প্রথম থেকেই দু’জনের কাছে স্পষ্ট থাকা দরকার।
অগ্রাধিকার
আমাদের সবার জীবনেই কিছু না কিছু প্রায়োরিটি থাকে যা আমরা অন্য সব কিছুর থেকে এগিয়ে রাখি। আপনাদের সম্পর্কটা দু’জনের কাছেই যদি সেই রকম প্রায়োরিটির বিষয় না হয়, তা হলে সমস্যা।
খোলা মন
একটা সম্পর্ক নানান চড়াই-উতরাইয়ের মধ্যে দিয়ে এগোয়। সব পরিস্থিতি সব সময় সমান যায় না। যে কোনও পরিস্থিতি, ঘটনা খোলা মনে মেনে নিতে শেখা জরুরি। তাতে সম্পর্ক টাটকা থাকবে, অনেক নতুন অভিজ্ঞতাও অর্জন করতে পারবেন।
সহমর্মিতা
সহমর্মিতা আর সংবেদনশীলতা, এই দুটি বিষয়ই সুস্থ সম্পর্কের ক্ষেত্রে অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। যে সব দম্পতি পরস্পরের প্রতি সহমর্মী, তাঁদের দাম্পত্যজীবন অনেক সুখের হয়।
আস্থা
সঙ্গীর প্রতি আস্থা রাখতেই হবে। তাঁর কাজকর্ম, আচরণের প্রতি যদি আপনার বিশ্বাস না থাকে, তা হলে একসঙ্গে থাকাটা সমস্যা। মাঝেমধ্যে ঝগড়াঝাঁটি হতে পারে, হিংসে হতে পারে, কিন্তু মনে রাখবেন এটাই যেন নিয়মে পরিণত না হয়। সুখী সম্পর্কের জন্য সঙ্গীর উপর আস্থা রাখুন।